National Law College
(জাতীয় আইন কলেজ)
অনলাইনে ভর্তির জন্য লিঙ্ক
(জাতীয় আইন কলেজ)
কলেজের প্রতীক :
জাতীয় আইন কলেজের প্রতীক বা মনোগ্রামের উপর বাংলায় 'জাতীয় আইন কলেজ' এবং নীচে ইংরেজিতে National Law College গোলাকারভাবে লেখা আছে। প্রথমে বাংলা ভাষা ব্যবহার করে বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। বৃত্তের ভিতরে একখানা পুস্তক ও তার উপর মোমবাতি দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, পুস্তক পাঠের মাধ্যমে জ্ঞানের আলো চারদিকে দিতে হবে। পুস্তকের বামদিকে লেখা রয়েছে আইন, শিক্ষা, প্রগতি। এর দ্বারা বোঝানো হয়েছে আইনের শিক্ষা গ্রহণ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে একটি সুষ্ঠু সুন্দর ও প্রগতিশীল সমাজ গঠন করা সম্ভব। ডান দিকে দাঁড়িপাল্লা দ্বারা এটাই প্রতীক্ষা হয়। যে, আইনের চোখে সবাই সমান (Law is equal for all)..
সূচনা:
আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে আইন শিক্ষার ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে সামনে রেখে ঢাকা শহরের মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত করা হয় জাতীয় আইন কলেজ (National Law College). মানুষ আল্লাহ্ তাআলার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি। শিক্ষার মাধ্যমেই এই শ্রেষ্ঠত্বের বিকাশ ঘটে। আর এ জন্যই সর্বত্র গড়ে উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মানুষ সমাজে বাস করে কতকগুলো নিয়ম কানুনের মধ্য দিয়ে। এই নিয়ম কানুনকে বলা হয় আইন। পন্ডিতগণ মনে করেন, সমাজের প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য আইন শিক্ষা করা। সেই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখেই বেশ কয়েকজন আইনজীবী, বিদ্যোৎসাহী সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত সহায়তায় গড়ে উঠেছে জাতীয় আইন কলেজ (National Law College). শুধুমাত্র ছাত্র/ছাত্রীদের পাস করানোই এর উদ্দেশ্য নয় বরং আইন সম্পর্কে সুষ্ঠু ও সঠিক জ্ঞান এবং আইনে পারদর্শী করে গড়ে তোলার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। বর্তমানে আইন শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় আইন কলেজ একটি ব্যতিক্রমধর্মী আইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নির্ধারিত সময়ে উন্নতমানের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম সমাপ্ত করা ভাল ফলাফলের অন্যতম প্রধান শর্ত। সে লক্ষ্যে অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ, সুচারুরূপে ক্লাশের কার্যক্রম পরিচালনা, মাসিক পরীক্ষা, উন্নতমানের পাঠদানের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ও প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখযোগ্য দিক। এর মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীদের সামগ্রিক অগ্রগতি সম্ভব। বাজারে আইনের অনেক নোট বই পাওয়া গেলেও আমরা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নোট বই কিনতে বিশেষভাবে নিষেধ ও নিরুৎসাহিত করি। বাংলাদেশ, ভারত, আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের খ্যাতনামা লেখকদের বই পড়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করি। আমাদের, কলেজ লাইব্রেরীতে প্রচুর দেশী ও বিদেশী লেখকের বই আছে। সেগুলো পড়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সুযোগ করে দেয়া হয়। আমরা প্রতিটি বিষয়ের উপর টিউটোরিয়াল পরীক্ষা নেই, যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়।
অর্জিত কৃতিসমূহ:
জাতীয় আইন কলেজ হতে প্রতিবৎসর বহু ছাত্র-ছাত্রী এল এল বি পাশ করে সরকারি, বেসরকারি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। বলা বাহুল্য যে, সরকারের মাননীয় মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যগণের অনেকেই এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। তারা অত্যন্ত জ্ঞানী ও গুণীজন বটে। বিগত দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা জনাব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীও অত্র কলেজের ছাত্র ছিলেন। কলেজের প্রাক্তন ছাত্র জনাব নজরুল ইসলাম খাঁন বি এন পি সরকারের আমলে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। বিগত সরকারের পি এস জনাব এন আই খান কলেজের কৃতি ছাত্র ছিলেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়েও কলেজের অনেক ছাত্র ছাত্রী রয়েছেন। কলেজের ছাত্র-ছাত্রীগণ বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসক এবং পুলিম সুপারের দায়িত্বেও নিয়োজিত আছেন। দেশের সেনাবাহিনীর বহু অফিসার অত্র কলেজের ছাত্র ছিলেন। আইনজীবী হিসেবে কলেজের বহু ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত থেকে সাধারণ মানুষের সেবার কাজে জড়িত আছেন। তাঁরা বিভিন্ন আদালতে এ পি পি, জি পি, পিপির দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও হাইকোর্টে এসিস্ট্রান্ট এ্যাটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও অনেকে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া কলেজের বেশকিছু ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সাথে জড়িত আছেন। কলেজের কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষক বিচারক হিসেবে হাইকোর্টে বিচারিক কার্যে নিয়োজিত আছেন।
১. আইন শিক্ষার জন্য এই কলেজটি অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
২. কলেজ কর্তৃপক্ষ ভাল ফলাফলের লক্ষ্যে ছাত্র/ছাত্রীদের বিনা বেতনে কোচিং এর ব্যবস্থা করে থাকেন।
৩. আইন শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়।
৪. কলেজেটি নিজস্ব ভূমির উপর বহুতল ভবনে অবস্থিত এবং যাতায়াতের বা যোগাযোগের সু-ব্যবস্থা আছে ।
৫. অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা শিক্ষা প্রদান করা হয় ।
৬. প্রতি বছর কলেজে শিক্ষা সফর এবং বনভোজনের অনুষ্ঠান করা হয়।
৭. কলেজের ছাত্র-ছাত্রীগণ প্রতি বৎসরই ভাল ফলাফল অর্জন করছে । তাদের ফলাফলে অভিভাবকবৃন্দ অত্যন্ত আনন্দিত এবং সুধী সমাজে তা সমাদৃত ।
কলেজ সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী সদস্যগণের নামের তালিকা নিম্নরূপ :
সম্মানিত অধ্যক্ষ মহোদয়ঃ
জনাব আলহাজ্ব ডক্টর মোঃ মহিবুর রহমান চৌধুরী ।
সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলীর নামের তালিকা নিম্নরূপ :
০২. জনাব আজমল চৌধুরী, এ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
০৩. জনাব এস.এম. রেজাউল করিম, এ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
০৪. জনাব খন্দকার মোহা: হান্নান, এ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
০৫. জনাব এডভোকেট প্রদীপ কুমার।
০৬. জনাব এডভোকেট গাজী মোহাম্মদ আবু জাফর।
০৭. জনাব এডভোকেট জ্ঞানদা প্রসাদ দাস।
০৮. জনাব এডভোকেট শ্রীবাস হালদার
০৯. জনাব এডভোকেট চানু চন্দ্র দেব নাথ
১০. জনাবা রুমা আক্তার
১১. এডভোকেট জনাবা সানজিদা আশরাফ
১২. এডভোকেট মোহাম্মদ কাওসার হোসেন
১৩. মরিয়াম রাহমান মার্জিয়া
কলেজের সম্মানিত খন্ডকালীন/অতিথি শিক্ষকগণের নামের তালিকা নিম্নরূপ :
০১. ডক্টর জনাব আব্দুল মান্নান মিয়া, এল এল. বি. এম. এ. পি. এইচ. ডি।
০২ ডক্টর জনাব সৈয়দ শামসুজ্জোহা, এল এল. বি, এল এল. এম, পি. এইচ. ডি।
০৩. ব্যারিস্টার জনাব নাজমা পারভীন, এল এল বি (সম্মান), এল এল. এম।
০৪. ব্যারিস্টার জনাব ফাতেমা বেগম, এল এল. বি (সম্মান), এল এল. এম।
০৫. জনাব হিরন্ময় হালদার, এল এল. বি (সম্মান), এল এল. এম (প্রথম শ্রেণি)।
০৬. জনাব মোঃ আবুল কাসেম ভূইয়া, এল এল. বি (সম্মান), এল এল. এম (প্রথম শ্রেণি)।
০৭. জনাব মোঃ গোলাম রসূল, এল এল. বি (সম্মান), এল এল. এম (প্রথম শ্রেণি)।
০৮. জনাব ওমর ফারুক আসিক, এল এল. বি (সম্মান) এল এল. এম (প্রথম শ্রেণি)।
০৯. জনাব আব্দুল্লাহ্-আল হোসাইন, এল এল. বি (সম্মান), এল এল. এম (প্রথম শ্রেণি)।
কলেজের শিক্ষা পদ্ধতি, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
জাতীয় আইন কলেজে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জীবনে একজন আদর্শবান ও বিজ্ঞ আইনজীবী হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। তাই তাদেরকে অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী ক্লাসে পাঠদান করেন। কলেজে রয়েছে একটি বৃহৎ লাইব্রেরী, যেখানে আইন বিষয়ক দেশি-বিদেশি লেখকদের বহু মূল্যবান পুস্তক রয়েছে। কলেজের শিক্ষকগণ ক্লাশে পাঠদানে ইংরেজির উপর যথেষ্ঠ দিয়ে থাকেন। সম্মানিত শিক্ষকগণ ক্লাশ শুরু হওয়ার পূর্বে কলেজে এসে ক্লাশে পাঠদানের বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে লেকচার দেন। বিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলীগণ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পরবর্তী ক্লাশের বিষয়বস্তু এবং অধ্যায় সম্পর্কেও অবহিত করেন, এতে ক্লাশে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি অনেক বেড়ে যায় এবং পরীক্ষার ফলাফলও সন্তোষজনক হয়। কলেজের অধ্যক্ষ, ডক্টর মোঃ মহিবুর রহমান চৌধুরী এবং বিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই অত্র 'ল' কলেজটি দেশের একটি শ্রেষ্ঠ আইন কলেজ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। তাই অত্র কলেজের ফলাফল সাফল্যতার শীর্ষে অবস্থান করছে। জাতীয় আইন কলেজের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সুদক্ষ আইনজীবী হিসেবে গড়ে তুলে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করাই কলেজ কর্তৃপক্ষের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির জন্য শিক্ষকগণ নির্ধারিত পাঠ্যসূচী ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করে থাকেন। সরকারি ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি ব্যতিত কলেজের ক্লাশ হয়।
আমাদের উদ্দেশ্য:
(১) আইন শিক্ষার জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আগ্রহী করে তোলা।
(২) প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কর্তব্যপরায়ণ দেশপ্রেমিক ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
(৩) সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।
(৪) সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও সুশৃঙ্খলভাবে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটানো।
(৫) আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ সাধনে সচেষ্ট হওয়ার শিক্ষা দেয়া।
সুযোগ সুবিধা ও অগ্রগতি :
কলেজের সম্মানিত শিক্ষকগণ পরীক্ষার পূর্বে ছাত্র-ছাত্রীদের সাজেশন ও নোট দিয়ে থাকেন। ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজ লাইব্রেরীতে অধ্যয়ন করার সুযোগ পায় ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার উন্নতির জন্য সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনায় উন্নতির জন্য সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণার্থে কলেজের ভর্তির ফরম বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এখানে নামাজের জন্য সু-ব্যবস্থা রয়েছে।
আলহাজ্ব রফি উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী
জনাব আলহাজ্ব রফি উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী ১১ই মে ১৯২৬ তারিখে চাঁদপুর জেলার মতলব থানাধীন বাহাদুরপুর গ্রামে একটি মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা আলহাজ্ব ইনতাজ উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন হিতকর কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি মানুষের জন্য কল্যান মূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করার কাজে সর্বদা আত্মনিয়োগ করেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অত্র কলেজটি ২৩শে ডিসেম্বর ১৯৮৫ ইং তারিখে তাঁর নিজস্ব বাস ভবনের ‘চৌধুরী ভবন’ ৭৯৬ দক্ষিণ শাহাজাহানপুর-এর দুটি রুমে নিয়ে প্রথম কলেজটি ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজের বিভিন্ন উন্নয়নে তিনি তার জীবদ্দশায় বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। গত ২৬ই মে ২০০৮ সালে ধানমন্ডিতে অবস্থিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
বিগত অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠা সদস্যের বানীঃ
জাতীয় আইন কলেজ ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র রমনা থানার অন্তর্গত মগবাজার চৌরাস্তার সন্নিকটে অবস্থিত। জাতীয় আইন কলেজ আইন শিক্ষার একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান। বহুদিন ধরে ঢাকা শহরের আপামর জনসাধারণের জন্য একটি আইন কলেজের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে আসছিরাম। ছাত্র-ছাত্রীদের আইন কলেজের ভর্তি সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে আমি এবং আমারই বন্ধু বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব রফিউদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী, এড. রাশিদুল হাসান, এডভোকেট খোন্দকার আবদুল মান্নান এবং কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ ডক্টর মোঃ মহিবুর রহমান চৌধুরীর সম্পূর্ণ সহযোগিতায় জাতীয় আইন কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত করি এবং অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেই। মনোরম ও সুন্দর পরিবেশে ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে আইন বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করেছে, যা অন্যান্য আইন কলেজের চেয়ে ব্যতিক্রমধর্মী।
আইন বিষয়ে পড়ালেখা করার উত্তম পরিবেশ আইন কলেজের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য জাতীয় আইন কলেজের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কলেজ পরিচালনা কমিটি ও কলেজ উন্নয়ন কমিটি সর্বপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহণে বদ্ধপরিকর। আল্লাহ আমাদের সহায় আছে।
বর্তমান অধ্যক্ষ মহোদয়, প্রতিষ্ঠাতার উত্তরসূরী এবং ও প্রতিষ্ঠা সদস্যের বাণী
আইন শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপিঠ হিসেবে জাতীয় আইন কলেজ একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠানরূপে আমার পরিবারবর্গ ও আত্নীয় পরিচিত বন্ধু-বান্ধবের প্রচেস্টায় ১৯৮৫ সালে গড়ে উঠেছে এবং সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই বর্তমানে সগৌরবে এখনো কার্যক্রম চলমান। এ কলেজে অধ্যয়নরত প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে এমনভাবে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে তারা সত্যিকারভাবে আইন শিক্ষাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে দেশে ও বিদেশে বিশেষ অবদান রাখতে পারে।
প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদের ভাল ফলাফলের লক্ষ্যে শিক্ষকগণ নিরলস ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কলেজটি একটি মনোরম ও সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও সুন্দর পরিবেশে গড়ে উঠেছে এবং কলেজের সুনাম ও সুখ্যাতির দিক দিয়ে সুদীর্ঘ ৪০ বৎসর যাবৎ অনেক এগিয়ে এসেছে। আমি প্রতিষ্ঠাতার সুযোগ্য সন্তান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং অধ্যক্ষ হিসেবে সর্বদা কলেজের উন্নতি ও ছাত্র-ছাত্রীদের মঙ্গল কামনা করি। আল্লাহ্ মহান, তিনি আমাদের সঙ্গে আছেন।